সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:: নারায়ণগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে বাসার কাছে ফেলে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আহত আরেক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তসলিম উদ্দিন।
নিহত আল-আমিন ওরফে দানিয়েল (২৮) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার দেলোয়ার মিয়ার ছেলে৷ আহত শুভ (২৪) একই এলাকার শাহজালালের ছেলে ও নিহতের বন্ধু।
নিহতের মা মুক্তা বেগম বলেন, স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আমার ছেলের বিরোধ ছিল। তারা আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে রাতের বেলা মাসদাইরে তার বাড়ির অদূরে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়৷ খবর পেয়ে আমার ছোট ছেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার ছেলে চাষাড়ায় এক বন্ধুর সাথে ঘুরতে গিয়েছিল, ফেরে লাশ হয়ে। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই, যোগ করেন এই মা৷
স্বজনরা জানায়, দুই বছর আগে আল-আমিনের বিয়ে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে শহরের চাষাড়া বালুরমাঠ এলাকায় দানিয়েল ও তার বন্ধু শুভকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের কয়েকজন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ব্যাটারিচালিত রিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “চাষাড়া বালুরমাঠ এলাকায় দুজনকে কোপানো হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে হাসপাতালে একজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসা ও স্থানীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে পুরোনো বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এক মাস আগে ফতুল্লা এলাকায় দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নিহত ব্যক্তি সংঘর্ষের ঘটনার মামলার আসামি ছিলেন। এছাড়া ২০২১ সালে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের মামলায়ও তিনি জামিনপ্রাপ্ত আসামি।
এদিকে, হত্যার ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।